পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

করোনা কাহন

করোনা কাহন
               উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী

বিশ্ব জোড়া আজ অন্ধকার, কালো মেঘে ঢাকা,
দোকান-বাজার জনশূণ্য, রাস্তা-ঘাট ফাঁকা।
বিশ্বযুদ্ধের আগমনে মনুষ্যকূল ভিত-সন্ত্রস্ত,
শত্রু যে অণুবীক্ষণিক, ছোঁয়াচে; ভয় তাই মস্ত।

চীন দেশের এক শহর, নাম টি তার উহান,
জিয়াং নামের এক ডাক্তার, ছিলেন বড়ই মহান।
সর্দি কাশির রোগীর দেহে পেলেন নতুন ভাইরাস,
পরীক্ষা করে দেখলেন তিনি এটি অতি সিরিয়াস।

করোনা নামের এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল হু-হু,
সংক্রমিত লক্ষাধিক, বিশ্ব জোড়া প্রাণ নিয়েছে বহু।
ওষুধ নেই চিকিৎসা নেই কিন্তু নেইকো কোনো ভয়,
সাবধানতা, সচেতনতা এই অস্ত্রে পাবই মোরা জয়।

হাওয়ায় পারে না উড়তে সে, ছড়ায় শুধুই ছোঁয়ায়,
যত্রতত্র থুতু নয়, আটকাবে ঘনঘন সাবানে হাত ধোয়ায়।
দোকান-বাজার-রাস্তা-ঘাটে রাখুন দুরত্ব এক মিটার,
মহামারী থেকে বাঁচতে আপনার সহযোগিতা দরকার।

সর্দি-কাশি-জ্বর হলেই নেবেন চিকিৎসকের শলা,
উপসর্গ অতি সামান্য হলেও করবেন না অবহেলা।
সরকার-প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ঘরে থাকুন বন্দী
অপ্রয়োজনে বাইরে বেরোনোর আঁটবেন না ফন্দি।

ছুড়ে ফেল কুসংস্কার, ছড়িও নাকো গুজব,
না তো এটা অবতার, না আল্লাহ্-র গজব।
মেঘ কাটবে, আলো আসবে করোনা হবে দূর,
জয় মোদের হবেই হবে মনে বিশ্বাস রেখো ভরপুর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সৈনিক

সৈনিক           উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী   ছেলেটা গত কালই বাড়ি ফিরেছিল, ছ'মাস পর, মাঝে ছুটি পায়নি সে। ফুলসজ্জার পরের দিন চলে যেতে হয়েছ...