উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী
চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা, বারুদের কটু গন্ধ-
একটানা বেজে চলেছে উদ্ধারকারী গাড়ির সাইরেন,
বিভিশিখাময় দেশটা জুড়ে আজ স্বজন হারানোর হাহাকার,
মাঝেমধ্যেই সব ছাপিয়ে ধেয়ে আসছে বিস্ফোরণে শব্দ।
দূরে ঝলসানো পুতুল হাতে দাঁড়িয়ে এক শিশু কন্যা!
অশ্রুহীন অপলক চোখ দুটিতে যেন একরাশ প্রশ্ন।
মৃত সন্তান কোলে ছুটে আসছে এক অভাগা মা,
আকাশ ভেদি কান্না তার ওদের কানে পৌঁছায় না।
ঐদিকে বিলাপরতা এক যুবতী, তার প্রেমিকের খোঁজে-
যাকে বিদায় জানিয়েছিল যুদ্ধের আগে আলিঙ্গন করে।
রাস্তার পাশে বসে এক দৃষ্টিহীন অশীতিপর বৃদ্ধ-
একমাত্র অবলম্বন তার পুত্র যে করতে গেছে যুদ্ধ।
ক'দিন আগেও ছিল সাজানো বাগানের মতো সবই-
ঝকঝকে রাস্তাঘাট, সারি-সারি ঘরবাড়ি, ঠিক যেন জলছবি।
আজ সে সব অতীত, সব ইঁট-কাঠ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ,
কঙ্কালসার চেহারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বহুতলগুলো।
ধ্বংস লিলা শেষে বন্ধ হবে যুদ্ধ বিমানের কোলাহল,
আর আকাশে ভিড় করবে রাশি রাশি শকুনের দল।
নাহ্, এই দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না, হে রাষ্ট্রনেতাগণ-
তোমাদের কোটি টাকার বোমার আঘাতে অসহায় নিরীহ জনগণ।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা হয়েছে ধ্বংস; যুদ্ধবাজ নেতারা হোক নির্বংশ।
যুদ্ধে কারই বা ক্ষতি, কার হয় লাভ, কার পুণ্য আর কে করে পাপ?
চাইনা সেসব হিসেব নিকেশ, চাইনা কোনো অজুহাত-
যুদ্ধ নয়, শান্তি দাও, সাজানো দেশটাকে ফিরিয়ে দাও।
চমৎকার লেখা 👍👍
উত্তরমুছুনঅসাধারণ লেখা উপেন্দ্র। বাস্তব এবং সঙ্গতিপূর্ণ। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনExcellent article. Precisely explained.
উত্তরমুছুন