শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি
উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী
ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আমরা, মানব জাতি,
সৃষ্টিরই করে চলেছি তিলে তিলে ক্ষতি।
জ্ঞান-বুদ্ধি দিলেন ঈশ্বর, পেল সব প্রাণী,
একটি গুণ পেয়ে মানব হলো শ্রেষ্ঠ জানি।
জ্ঞান-বুদ্ধির সাথে মানব পেল মান ও হুঁস,
এই গুণেই তার পরিচিতি, হলো সে মানুষ।
ধর্ম; এক বিষাক্ত প্রাচীর মানুষের দ্বারা সৃষ্ট,
ঈশ্বরও বিভক্ত হলেন- ভগবান, আল্লাহ্, খ্রিস্ট।
ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ সর্বত্রই ভেদাভেদ,
মানব জাতির সৃষ্টিই ঈশ্বরের একমাত্র খেদ।
লোভ, পাপ ও অহঙ্কারে আজ সৃষ্টি পরিপূর্ণ,
ভক্তি উধাও আরাধনায়, নিষ্ঠা হলো শূণ্য।
লক্ষ লক্ষ লাড্ডু তোমরা রামকে করো নিবেদন,
ভক্তি-শ্রদ্ধার লেশহীন, শুধুই তোলো আলোড়ন।
রাজকন্যা সত্যভামা ছিলেন কৃষ্ণ-পত্নী,
বৈভবের অহঙ্কারে পরিপূর্ণ মহারানি।
মণি-মাণিক্য, হিরে-জহরত ছিল তাঁর যথেষ্ট,
একটি মাত্র তুলসীপাতায় কৃষ্ণ হলেন তুষ্ট।
নিচু জাতের শবরী মাতা ছিলেন রাম-ভক্ত,
তাঁর নিঃস্বার্থ ভক্তি দেখে শ্রীরাম হলেন মুগ্ধ।
শবরী মাতার এঁটো কুল খেলেন ভগবান,
রাম মন্দিরে নেই ঠাঁই, নেই মান-সম্মান।
রাম-রাজ্যে সুখ ছিল, শান্তি ছিল, ছিল ন্যায়, সত্য,
মূর্খ এই মানুষগুলো মন্দির-মসজিদেই মত্ত।
আল্লাহ্'র নামে কোতল করো, রামের নামে বধ,
ভুলে গেছ মোদের রক্তে 'যত মত তত পথ'।
খিদের জ্বালায় শিশু কাঁদে, পেটের নেই জাত,
ধর্মস্থানে দানের জোয়ার, ওদের জোটে না ভাত।
মানব জীবনের মূল্য নেই, গরুতেই যতো শোক,
পরমহংসে ভাষায় বলি, 'তোদের চৈতন্য হোক'।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন