পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বানভাসি মরুদেশ

বানভাসি মরুদেশ
          উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী

লম্বা-চওড়া পিচ রাস্তা,
আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকা,
কলকারখানার চিমনি দিয়ে 
উড়ছে ধোঁয়া আঁকাবাঁকা।
পাহাড় কেটে গড়ছি হোটেল,
দিচ্ছি বাঁধ নদীর বুকে,
নির্বিচারে ভূগর্ভের তুলছি
জল ছেঁকে ছেঁকে।
বুজিয়ে পুকুর, জলাশয়
হচ্ছে শহর বালি-ইটের,
নির্বিচারে কাটছি গাছ
গড়তে জঙ্গল কংক্রিটের।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং? পুরনো কথা-
হয়েছে আজ ভীষণ ক্লিশে,
টগবগিয়ে ফুটছে বিশ্ব-
খরা-বন্যা দেশে-দেশে।
গলছে মেরুর গ্লাসিয়ার,
বৃষ্টি হীন রেন ফরেস্ট,
'উন্নয়নের জোয়ার'-এ দেখো
বানভাসি আজ মরুদেশ।

রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

সম্পর্ক

সম্পর্ক
       উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী 

ছোট্ট শিশু অবুঝ মনে মায়ের কোলে বসে-
কোঠিন প্রশ্ন দিল ছুঁড়ে মুচকি একটু হেসে।
অনেক ভেবেও পাইনি মা, সম্পর্কের মানে;
কারে কয় 'সম্পর্ক' জিগাই জনে-জনে।
প্রশ্ন শুনে মা বলেন হাতটি রেখে হাতে
"সম্পর্ক সুতোর মতো, মালা যে গাঁথে।
সম্পর্কের সুতোয় বাঁধা পড়ে মানুষ-ফুল
এটাই এক সত্য জেনো, বাকি সবই ভুল।
আমি হলাম একটি ফুল, মালা কভু নই,
যে মালা মানব জাতির শ্রেষ্ঠত্বের মই।
গাঁথতে মালা প্রতি ফুল সুঁচের আঘাত সয়!
এমন ত্যাগ থাকলে তবেই সমাজ গঠন হয়।
ছোটো পরিবারে শিশু মন হচ্ছে সংকীর্ণ 
স্বার্থপর মানুষ তাই সমাজ জরাজীর্ণ।
ভাঙছে সব সম্পর্ক, ভাঙছে দেখো সমাজ,
মানব জাতির গৌরব তাই বিপন্ন হল আজ।"
জানে না মা সন্তান তার বুঝল কতখানি
মুক্ত হল আজকে মায়ের মনের সব গ্লানি।

সৈনিক

সৈনিক           উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী   ছেলেটা গত কালই বাড়ি ফিরেছিল, ছ'মাস পর, মাঝে ছুটি পায়নি সে। ফুলসজ্জার পরের দিন চলে যেতে হয়েছ...