পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

ওরা পরিযায়ী শ্রমিক

ওরা পরিযায়ী শ্রমিক
                   উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী

দলে-দলে বা একা-একা, ওরা আজ নেমেছে পথে-
আজ ওরা অসহায় ভারি;
দুরত্বের কোনো হিসেব নেই, সময়ের তাদের জ্ঞান নেই-
ফিরবেই নিজ-নিজ বাড়ি।
শপথ ওদের বড্ড কঠিন, চিত্ত ওদের ভয় ডরহীন-
আজ ওরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ;
অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, নেই ওদের ন্যুনতম সংস্থান-
সরকার! সে তো অন্ধ, অজ্ঞ।
বাবা হয়েছে শ্রবণকুমার, ঘুমন্ত শিশু টানছে মা-
বইছে তাকে বাক্স চলমান;
অন্তঃসত্ত্বাও হাঁটছে সাথে, করেছে প্রসব পথের ধারে-
খুইয়েছে তার মান-সম্মান।
অতিমারিকে নেইকো ভয়, জ্বলছে ওরা খিদের জ্বালায়-
আজ ওরা বড্ড ক্ষুধার্ত;
লক্ষ কোটির প্যাকেজ আসে, অশ্বডিম্ব ওদের জোটে-
ধোকাবাজ মন্ত্রীরা ভারি ধূর্ত।
পিচ রাস্তায় জ্বলছে আগুন, মাথার উপর সূর্য প্রখর-
ফোসকা পরে পায়ের তলায়;
নেতারা সব হাড় বজ্জাত, সব ঠগ লুটেরার দল-
চোরেরাই এদেশ চালায়।
এনআরআইদের ফ্লাইট আছে, ওদের আছে দুটি পা-
হয়ে যাক এ দেশ ছাড়খাড়;
শেষনাগের ফণার মতো ওদের কাঁধও শক্তিশালী-
ওরাই বয় এদেশের ভার।
দেশ গঠনের যন্ত্র ওরা, ওরাই দেশের ভুত ভবিষ্যত-
তবু বঞ্চিত ওরা চিরকাল;
লিখতে বসলে ওদের কথা চোখ হতে বয় অশ্রু ধারা-
আসবেই নতুন সকাল।
প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, বড়-মেজো-ছোটো নেতা-
আছে তাদের অনেক গিমিক;
রাজনীতির বিভেদ ভুলে এগিয়ে এসো সকলে মিলে-
ওরা পরিযায়ী শ্রমিক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সৈনিক

সৈনিক           উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী   ছেলেটা গত কালই বাড়ি ফিরেছিল, ছ'মাস পর, মাঝে ছুটি পায়নি সে। ফুলসজ্জার পরের দিন চলে যেতে হয়েছ...