পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪

মাফ করো গাজা

মাফ করো গাজা
             উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী

ইউনেস্কোর গাড়িটার পিছনে কয়েশ কঙ্কাল দাঁড়িয়ে,
আজ মাসাধিককাল পর হয়তো একটা পাউরুটি জুটবে-
জুটবে কি? কে জানে! তবু দাঁড়িয়ে আছে তারা।
হয়তো এটাই শেষ খাওয়া! প্রতি মূহুর্তে যে মৃত্যুর আশঙ্কা!
অপুষ্টি নয়, ভয় তো মানুষ রূপি রাক্ষসের-
যারা আসে, নির্বিচারে গুলি চালায়,
বিজয়োল্লাস করে, আর চলে যায়।
এই নিরীহ মানুষগুলোকে মেরে তারা দেখায় বীরত্ব
তারা যে 'শক্তিশালী' ও 'সভ্য' দেশের করে প্রতিনিধিত্ব
হত্যা যাদের নেশা, বিনাশ তাদের পেশা।
এই কঙ্কালগুলোও বাঁচতে চায়, এটা কি অপরাধ?
কে বলবে তাদের কথা? কে শুনবে তাদের ব্যাথা?
এ বিশ্ব যে বড় নির্দয়, স্বার্থপর - দীনের নেই নাথ।
যুদ্ধ-বন্ধের জন্য কত নিষ্পাপ প্রাণের আহুতি লাগে?
কতো মৃত্যুর পর নেতাদের প্রাণ জুড়ায়?
কতো ধ্বংসের পর শান্তি প্রস্তাব রাখা হয়?
আছে কি এর কোনো মাপকাঠি?
বিশ্বনেতাগণ এর জবাব দেবেন কি?
হে গাজা আমি দুঃখিত, আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি লজ্জিত
আমি সেই সমাজের প্রতিনিধি যে সমাজ তোমারে করেছে রিক্ত।

সৈনিক

সৈনিক           উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী   ছেলেটা গত কালই বাড়ি ফিরেছিল, ছ'মাস পর, মাঝে ছুটি পায়নি সে। ফুলসজ্জার পরের দিন চলে যেতে হয়েছ...