পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১

গান্ধী-মূর্তীর পাদদেশে

গান্ধী-মূর্তীর পাদদেশে
            উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী


সেদিন বৈকালে গান্ধী-মূর্তীর পাদদেশে
বেশকিছু মানুষের জমায়েত দেখে
এগিয়ে গেলাম, দেখলাম মঞ্চ
আলো করে ধোপ দুরস্তুর রাজবেসে
বক্তৃতা করছে এক নেতা। কুঁচি খানি পকেটে,
পোডিয়ামে মাইক্রফোন, উন্নত তর্জনি;
সততা আর নৈতিকতার গল্প বলছে সে।
বক্তৃতা মন কাড়ল, আর একটু এগিয়ে গেলাম।
নেতার মুখটা খুব চেনা, কোথায় যেন দেখেছি!
হ্যাঁ মনে পড়েছে, টিভিতে গত জানুয়ারি মাসে
ওকেই তো দেখেছিলাম ঘুষ নিতে হাত পেতে!
হায় ঈশ্বর! এতো নির্লজ্জ হতে পারে এরা!
এ কিনা দেয় নৈতিকতার পাঠ! এখানে এসে!
এখানে এরা প্রতিদিন আসে, ভাষণ দেয়-
ভাড়ার ভির জড়ো হয়, তালিও পায়;
লোকে দেখে এই নাটক আর হাসে।
হে গান্ধী, মোদের করো ক্ষমা, মোরা অভাগা
চোরেরা করে শাসন তোমার এই দেশ 
আর যারা দিল বলিদান তারা বঞ্চিত শেষে!
ওরা জানে ওদের কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা
কেউ শুনবে না তাদের কোনো কথা
তাই দল বাঁধে এইখানে, গান্ধী-মূর্তীর পাদদেশে।

সৈনিক

সৈনিক           উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী   ছেলেটা গত কালই বাড়ি ফিরেছিল, ছ'মাস পর, মাঝে ছুটি পায়নি সে। ফুলসজ্জার পরের দিন চলে যেতে হয়েছ...